চিল্কিগড়ের কনকদূর্গা
আনুমানিক ৫০০ বছরের বেশি পুরানো এই মন্দিরটি রাজা গোপীনাথ নির্মাণ করেছিলেন | কথিত আছে রাজা গোপীনাথ স্বপ্নে এক মাতৃ মূর্তির দর্শন করে, এই মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন| এটা শোনা যায় যে রাজবংশের সময়ে নরবলি একটা গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান ছিল| যতক্ষণ না বলির রক্ত ডুলুং নদীতে পৌছাতো ততক্ষন সেই অনুষ্ঠান চলতে থাকতো |
কনক দুর্গা মন্দির পরিদর্শন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের একটি রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা দেয়। এটি ঝাড়গ্রাম শহর থেকে প্রায় ১৪ কিমি দূরে। শতাব্দী প্রাচীন মন্দিরটি ডুলুং নামে একটি ছোট মোহনীয় নদীর পাশে ঘন জঙ্গলে অবস্থিত। বেশ কিছু বিরল প্রজাতির গাছ, পাখি এবং বানর এখানে দেখা যায়। কনক দুর্গার পথে কেন্দুয়া নামে একটি স্থান আছে। শীতকালে পরিযায়ী পাখিরা এই স্থানে আসে । ঘন জঙ্গলের মধ্য দিয়ে স্বল্প সময়ের ভ্রমণ একটি মনোমুগ্ধকর অভিজ্ঞতা দেয়।
ফটো সংগ্রহশালা
কিভাবে পৌছব :
নিকটতম বিমানবন্দরটি ভারতের কলকাতা, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, যা ঝাড়গ্রাম থেকে প্রায় ১৮৮ কিলোমিটার দূরে।
হাওড়া / টাটানগর থেকে ঝাড়গ্রাম স্টেশনে পৌঁছাতে এক্সপ্রেস / লোকাল ট্রেন আছে ।কলকাতা থেকে ঝাড়গ্রামে পৌঁছাতে একটি ট্রেনের সর্বনিম্ন সময় লাগে ২ ঘন্টা ২৪ মিনিট।
কলকাতা থেকে জাতীয় সড়ক ৬ (মুম্বাই-কলকাতা মহাসড়ক) দ্বারা ঝাড়গ্রামে পৌঁছাতে ৪ ঘন্টা সময় লাগে । ঝাড়গ্রাম শহর থেকে সড়কপথে ১৪ কিলোমিটার পথ এগোলেই চিল্কিগড়ের কনকদূর্গা মন্দির ।