ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি
ঝাড়গ্রাম রাজপ্রাসাদের ইতিহাস শায়িত আছে ঝাড়গ্রাম শহরের কিংবদন্তির মধ্যে ,প্রায় ১৫৭৪ খ্রী আমেরের রাজা মান সিংহ মুঘলরাজ্ আকবরের আদেশে বাংলা জয় করতে এসেছিলেন।ফতেপুর সিক্রীস্থিত রাজপুতিয়া চৌহান বংশীয় সর্বেশ্বর সিং জঙ্গলখন্ডের স্থানীয় বিচার ব্যাবস্থাকে পরাভূত করতে নিযুক্ত হয়েছিলেন ।রাজা সর্বেশ্বর সিং রাজপূত সামরিক বাহিনী ও অশ্বারোহী বাহিনীর সহায়তায় জঙ্গলখণ্ড আক্রমণ করেছিলেন ও মাল রাজাকে পরাস্ত করে মল্লদেব উপাধি ধারণ এবং ঝাড়গ্রাম নামে তার রাজধানী স্থাপন করেন ।ঝাড়গ্রাম কথাটির অর্থ ঘন অরণ্য পরিবৃত একটি গ্রাম।তার জয় প্রতি বছর বিজয়াদশমীতে উৎযাপিত হয় ।মান সিংহ কয়েক মাস এখানে বসবাস করার পর রাজস্থানে ফিরে যাবার সিদ্ধান্ত নেন ,ও তার বিশ্বস্ত সেনাপতি সর্বেশ্বর সিং এর হাতে রাজত্ব তুলে দিয়ে ঝাড়গ্রামের রাজা হিসেবে নির্বাচিত করেন ।সেই থেকে এই দুর্গ রাজপরিবারের সদস্যদের বসবাস ও রাজত্ব পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয় যা আজও নবনির্মিত রাজপ্রাসাদের পিছনে বিরাজমান ।নতুন প্রাসাদটি খুবই চিত্তাকর্ষক ভাবে ইন্দো সারসেনিক প্রথায় নির্মিত যার ভাস্কর্য পরিকল্পনা কলকাতার উন্নয়ন সংস্থার প্রধান শ্রী ক্ষিতীশ চন্দ্র বিশ্বাস মহাশয় করেছিলেন ।এর ভিতরস্থিত সুন্দর বাগান ও লন প্রাসাদটির চারিদিকে ঘিরেও রয়েছে ।এর কাজ শুরু হয় ১৯২২ খ্রি রাজা নরসিংহ মল্লদেব মহাশয়ের সময়কালে ও সম্পাদন হয় ১৯৩১ খ্রি ।প্রাসাদটি এমন দুর্দান্ত শৈল্পিক ভাবে তৈরী যে প্রাসাদের অভন্তরীন অংশগুলি তার ঐতিহাসিক স্মৃতিকে রোমন্থন করে ।
ফটো সংগ্রহশালা
কিভাবে পৌছব :
নিকটতম বিমানবন্দরটি ভারতের কলকাতা, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, যা ঝাড়গ্রাম থেকে প্রায় ১৮৮ কিলোমিটার দূরে।
হাওড়া / টাটানগর থেকে ঝাড়গ্রাম স্টেশনে পৌঁছাতে এক্সপ্রেস / লোকাল ট্রেন আছে ।কলকাতা থেকে ঝাড়গ্রামে পৌঁছাতে একটি ট্রেনের সর্বনিম্ন সময় লাগে ২ ঘন্টা ২৪ মিনিট।
কলকাতা থেকে জাতীয় সড়ক ৬ (মুম্বাই-কলকাতা মহাসড়ক) দ্বারা ঝাড়গ্রামে পৌঁছাতে ৪ ঘন্টা সময় লাগে । ঝাড়গ্রাম শহরের মধ্যে অবস্থিত ।